Samsherganj Basudebpur: পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার Samsherganj ও Suti ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় দেখাগেলো জাতীয় সড়ক অবরোধ বিক্ষোভ। ১৪ই অগাস্ট ২০২৪ বুধবার সকাল ৮টার সময় থেকে চললো জাতীয় সড়ক অবরোধের কর্মসূচী। ঠিক কি কারনে চলল এই জাতীয় সড়কের অবরোধ কর্মসূচী। আসুন তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমরা জেনে নিই জাতীয় সড়ক অবরোধের মূল কারন কি।
Samsherganj Basudebpur জাতীয় সড়ক অবরোধের মূল কারন
আজকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধের মূল কারন জানতে হলে আমাদের পিছনের ডেটে ফিরে যেতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার মানুষ কাজ করতে গিয়েছিলো ওড়িষ্যা রাজ্যে। সে রাজ্যে তারা অনেক বছর ধরে কাজ করে আসছেন সকলেই কিন্তু আলাদা আলাদা কাজের পেশায় যুক্ত ছিলেন।
আমাদের পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশের যে বেহাল দূর্দশার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে ছিল বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে। দিন দিন সে দেশের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বেড়েই চলে ছিল এই আন্দোলনে যুক্ত বহু আন্দোলনকারীদের প্রান গিয়েছে। শেষ মেস সে দেশের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদে ইস্তোফা দিয়ে দেশ ছেড়ে প্রাণে বাঁচেন।
শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পরে বাংলাদেশ আরো অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠে। তারপর সে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়ার খবর দেখতে পাওয়া যায় সোশালমিডিয়া ও নিউজ চ্যানেলের মাধ্যমে। এরই মাঝে বিভিন্ন নিউজ চ্যানেলের ক্যামেরায় ধরা পরে হিন্দুদের মন্দির ভেঙে ফেলা ও সোনাতন ধর্মের মানুষের উপর অত্যাচার শুরু হয়। এমনকি অনেক সনাতন ধর্মের মানুষ ভারতে আশ্রয় নেওয়ার জন্য বর্ডারের পাশে জমায়েত হয়। বাংলাদেশের সনাতনীদের উপর অত্যাচারের কারনে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন হয়।
এরই মাঝে সোশালমিডিয়ায় দেখতে পাওয়া যায় বাংলার পরিযায়ী মানুষের উপর অত্যাচার শুরু করে ওড়িষ্যাবাসীরা। বাংলার পরিযায়ী মানুষের উপর মারধর এর পাশাপাশি ওড়িষ্যা ছাড়ার নির্দেশ দেন তারা। পরিযায়ী বাঙালীরা তারা তাদের আধারকার্ড দেখালে ওড়িশ্যাবাসীরা তাদের কোনো কথা না শুনে বাংলাদেশী বলে মারধর করে। বাঙালী পরিযায়ীরা পুলিশের দ্বারস্থ হলে তারা পুলিশের কোনো সহযোগিতা পায়নি বলে জানান। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় বাঙালী পরিযায়ীরা যেন দ্রুত ওড়িষ্যা ছেড়ে বাংলায় ফিরে যায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সকল বাঙালিদের বাংলায় ফিরে আসতে বলেন।
বাঙালী পরিযায়ী শ্রমিকরা ওড়িষ্যা রাজ্য ছেড়ে বাংলায় ফিরে আসে। বাংলায় তারা ফিরে আসার পরে কর্মহীন হয়ে পরে। এই কারণেই তারা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে পথ অবরোধের কারনে যানজটের সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভ কারীদের দাবি তাদের যেন বাংলার সরকার কাজের ব্যবস্থা করে দেয়। সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ আসে তারপর তারা জাতীয় সড়ক অবরোধ কারীদের সরানোর চেষ্টা করে। তারপরে ও প্রায় চার ঘন্টা ধরে বিক্ষোভ কারীরা এই জাতীয় সড়ক অবরোধ কর্মসূচী চালায়। পথ অবরোধের পাশাপাশি গাড়ী ভাঙচুর ও করে।
এই পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পরিমানে জঙ্গিপুর জেলা পুলিশ বাহিনী আসে। পুলিশ বাহিনীর উপরে বিক্ষোভ কারীরা ইট পাথর ছুড়া ছুড়ি করতে শুরু করে। বাধ্য হয়ে পুলিশ বিক্ষোভ কারীদের উপরে লাঠি চার্জ ও কাদানি গ্যাস ফাটাতে শুরু করে। পাথরের আঘাতে বেশ কয়েকটি পুলিশ কর্মী আহত হন। জঙ্গীপুর পুর জেলা পুলিশের তাৎপরতায় প্রায় চার ঘন্টা পথ অবরোধের পর জাতীয় সড়ক স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আন্তে সক্ষম হয়। (Samsherganj Basudebpur)